রাজিব আহমেদ (রাজু) ফরিদপুরঃ

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর দড়িকৃষ্ণপুর এলাকায় এক নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে চার আসামিকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দেড় লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় একজন বাদে বাকি তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর বেপারী (৩৭, পলাতক), কামরুল মৃধা (৩৭), আলী বেপারী (৪২) ও বক্কার বেপারী (৬৭)। এছাড়া মামলার আলামত নষ্ট করার অভিযোগে মমতাজ বেগম ও আবুল কালাম বেপারী নামের দুইজনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

রায়ে বলা হয়, দণ্ডিতদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ জেলা কালেক্টর সংগ্রহ করে ভিকটিমের পরিবারকে প্রদান করবেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ অক্টোবর রাতে সদরপুর উপজেলার হাট কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চর দড়িকৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভিকটিমের দুলাভাই জাহাঙ্গীর বেপারী রাতে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যায় এবং বোনের অসুস্থতার কথা বলে ভিকটিমকে দরজা খুলতে বলে। দরজা খোলার পর তারা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে হত্যা করে। এরপর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরদেহ কবর দিয়ে ফেলা হয়।

পরে ভিকটিমের মায়ের সন্দেহ হলে তিনি ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করে।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন বলেন,
“রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে আমরা সর্বোচ্চ বিচার পেয়েছি। আদালতের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

Comments (0)

Your email address will not be published. Required fields are marked *