মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ০৭ নং তালুক কানুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ নিজ আয়ত্তে রাখতে প্যানেচেয়ারম্যান এর কারসাজিতে বিএনপি অফিস ভাঙচুর
ও সদ্য জামিন প্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ আলম মন্ডলকে ভাসানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে একটি মহল।
গত ০৭-০৩-২০২৫ ইং তারিখে রাত অনুমান ১২ টার সময় তালুককানুপুর ইউনিয়ন এর জামালপুর বাজারে বি এন পির আঞ্চলিক অফিসে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাঘুরে জানা গেছে, তালুক কানুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মাসুদ আলম মন্ডল সহ এলাকায় নির্দলীয় লোকজন কে ফাসসনোর চেষ্টায় একই ইউনিয়ন এর প্যানেল চেয়ারম্যান জনাব ফিরোজ কবীর বি এনপির সমর্থক, ( বিগত দিনে আওয়ামিলীগ এর সমর্থক, আওয়ামী লীগের আমলে সমসপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি সুন্দইল হাড়িয়া মন্ডল মসজিদের সভাপতি) সে ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। তিনি বিগত সময়ে আবুল কালাম আজাদের আশীর্বাদ পুষ্ট ছিলেন।
জনাব মাসুদ আলম মন্ডল দীর্ঘ ৫ মাস জেল হাজত শেষে ৭ টি বিস্ফোরক আইনের মামলায়
গত ০৫-০৩-২০২৫ তারিখে জামিনে মুক্তি পান। জনাব মাসুদ আলম মন্ডল চেয়ারম্যান হিসাবে পুনরায় যাতে করে দায়িত্ব পালন করিতে না পারেন ,সে কারনে জনাব ফিরোজ মেম্বার পরিকল্পিত ভাবে নিজেই জামালপুর হাটে অফিস ভেংগে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে ফোন দিয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেন।ইহাতে তালুককানুপুর ইউনিয়ন বি এন পি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাহারা বলেন যে, এভাবে নিজের অফিস নিজেরা ভেংগে অন্যর উপর দোষ চাপানোর
চেষ্টা ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সামনে আমাদের জাতীয় নির্বাচন, এধরনের কার্যক্রম করলে সাধারন মানুষ আমাদের কে ভোট দেবে কি করে।এতে করে জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জনাব ফিরোজ কবীর মেম্বার নিজের স্বার্থে দলের অপূরনীয় ক্ষতি করে যাচ্ছে। এ বিষয় ইউনিয়ন বি এন পি সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ নেতা কর্মী কে জিজ্ঞেস করিলে তাহারা বলেন, যে কোন অন্যায় তাহারা প্রসয় দিবেন না। এ বিষয়ে জানতে জনাব ফিরোজ কবিরকে বারবার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তালুককানুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য কারা মুক্ত চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মাসুদ আলম মন্ডল কে তার মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে এই প্রতিনিধিকে তিনি বলেন,
তার সুনাম নষ্ট করতে এবং ইউনিয়ন পরিষদের
ক্ষমতার লোভে একটি মহল তার ওপর অন্যায় নির্যাতন ও হয়রানি মুলক মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করছে। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গোছে, সেনাবাহিনী ও গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বুলবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য মোবাইলে ফোন দিলে পাওয়া যায়নি।
এলাকার সচেতন মহল এবং সুধীজন ঘটনার সুষ্ট তদন্ত ও নির্দোষ ব্যক্তিরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।