কামরুন তানিয়া কক্সবাজারঃ

প্রতিবাদী মানুষেরা বলছে- কোনো তওহীদী জনতা বা নারীবাদী সংগঠনের সহযোগিতা পায়নি শিশুটি এবং শিশুটির বড়ো বোন।
বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে দুলাভাই ও বোনের শ্বশুর কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছিলো শিশুটি। মাগুরা হাস্পাতালের ভর্তি অবস্থায় শিশুটি মারা গেছে। নির্যাতিতার মায়ের ভাষ্যমতে- ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হয় বড়ো মেয়ের। বিয়ের শ্বশুর কর্তৃক শ্লীলতাহানির শিকার হয় মেয়েটি- যার পরিনাম এই পর্যন্ত গড়ালো। শিশুটিকে পাঠানো হয়েছিলো বড়ো বোন কে সঙ্গ দেয়ার জন্য। বোনকে সঙ্গ দিতে এসে জীবন দিলো শিশুটি। ফিরতে রাত হয়ে যাবে বিধায় বড় বোন বলেছিল পরদিন বাড়িতে যেতে। বড় বোন কিছুক্ষণের জন্যে বাইরে গিয়েছিল।
শিশুটি বোনের রুমে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে ছিল এক কোনায়। দুলাভাইও ছিল রুমে। বড়বোন ভেবেছিল তার স্বামী যেহেতু আছে তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না।
তারপর দুপুরের দিকে বড় বোন বাসায় এসে দেখে রুমে লাইট নিভানো, ঘুটঘুটে অন্ধকার। তড়িঘরি করে লাইট জ্বালিয়ে দেখে তার আদরের ছোট বোনটা এলোমেলোভাবে পড়ে আছে, চেহারাটা ফ্যাকাশে।

বড় বোন বুঝতে পারেনি কি হয়েছে তার আদরের বোনটার সাথে! যখন বুঝতে পারে তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে।
বড় বোন শাশুড়িকে হাতজোড় করে তার বোনটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। কিন্তু শাশুড়ি নিষেধ করছিল ঘটনাটা যাতে জানাজানি না হয়, হলে নাকি মানসম্মানে কমতি পড়বে তাদের। তারপর বহু কষ্টে শাশুড়িকে রাজি করিয়ে বড় বোন শিশু বোনটাকে নিয়ে আসে মাগুড়া হাসপাতালে। কোনো রকম দায়সারা ভাবে হাসপাতালে দিয়েই শাশুড়ি পালিয়ে যায় সেখান থেকে। হাসপাতালে আনার পর বাচ্চা মেয়েটার অবস্থা আরও বেশি গুরুতর হয়ে পড়ে।
শিশুটির মা এবং বোনের সন্দেহ দুলাভাই সজীব এবং শ্বশুর হিটুর প্রতি। জোরালো সন্দেহ দুলাভাই সজীবের প্রতিও। যেহেতু তার রুমেই ছিলো শিশুটি।
তৌহিদী জনতা এখন এই বাচ্চা মেয়েটার কি দোষ দিবে? তার তো ওড়না পড়ার বয়সও হয়নি।
ওড়না পড়ার বয়স হলে নাহয় ওড়নার দোহাই দিয়ে দায়সারা যেতো। মা এবং বোন মিলেই এখনও অসহায়ের মত পড়ে আছে হাসপাতালে। তাদেরকে সাহায্য করতে কোনো তৌহিদী জনতা আসেনি, আসেনি কোন নারীবাদী সংগঠন। মৃত্যুর সাথে লড়াই করতে করতে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে নিলো শিশুটি। পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে শিশুটি। কিন্তু বিচার হবে কিনা তা আমরা জানি না। কারণ বিচারক ও পুলিশের কাছে এটি ধারাবাহিক সাধারণ ঘটনা মাত্র।
উক্ত ঘটনায় সময়ের বহুলাচিত মানবাধিকার নেতা সেহলী পারভীন বলেন- তদন্তের বেড়াজালে মামলাটি যেনো হারিয়ে না যায়! কালক্ষ্যাপন না করে প্রথম শোনেনিতেই ফাঁসির রায়সহ কার্যকর সময় দিবস ঘোষণা করা আদালতের দায়িত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *