রাজিব আহমেদ (রাজু) ফরিদপুরঃ

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের নগরকান্দায় দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় দলের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। হামলায় প্রায় ২০টি বসতবাড়ি ও ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। বুধবার সকালে উপজেলার কাইচাইল  ইউনিয়নের মধ্য কাইচাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, কাইচাইল ইউনিয়ন ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ইব্রাহিম মিয়ার সমর্থক ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জিন্নাহ সরদারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে । এতে উভয়উভয় দলের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের নগরকান্দা উপজেলা হাসপাতাল, ভাঙ্গা উপজেলা হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ১০/১২/২০২৪ইং (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় মাদ্রাসা বাজারে আমার সমর্থক ও জিন্নাহ সরদারের সমর্থকের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কিছুক্ষণ পর জিন্নাহ সরদারের নেতৃত্বে শতাধিক লোক দেশিয় অস্ত্র নিয়ে মাদ্রাসা বাজারের আমাদের প্রায় ১০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় আমাদের লোকজন পাল্টা হামলা চালায়। এতে দু-দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তখন এলাকা অবস্থা স্বাভাবিক হয়। পরদিন সকালে আবারো জিন্নাহ সরদারের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ সময় আমাদের লোকজন পাল্টা হামলা চালালে জিন্নাহ সরদারের লোকজন পালিয়ে যায়। তখন উত্তেজিত লোকজন কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে তবে কোন লুটপাট হয়নি।  অন্যদিকে কৃষক লীগের সভাপতি জিন্নাহ সরদার  বলেন, আমি আমার ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় থাকি। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমাদের লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ইব্রাহিম মিয়ার লোকজন সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িসহ সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং লুটপাট করে নেয়।

এ ব্যাপারে নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফর আলী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনার স্থানে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে। এখন সেখানকার অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো কোন পক্ষের লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *