মিজানুর রহমান নগরকান্দাঃ

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় ভূয়া কাবিননামা বানিয়ে এক শিক্ষককের নামে আদালতে মামলা করায় শিক্ষক মামলার বাদী সহ স্বাক্ষীদের নামে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলা সিআইডি ফরিদপুর জেলা কে তদন্তের নির্দেশ দেন এবং সিআইডি তদন্ত করে কাবিননামা ভূয়া প্রমানিত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।আদালত তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে বাদী সহ সকল স্বাক্ষীদের গ্রেফতারী পরওয়ানা জারি করে।পুলিশ মামলার বাদী শাহারা আক্তার সপ্না(৩৫), পিতা আনোয়ার মুন্সী গ্রাম গজারিয়া ইউনিয়ন চরযশোরদী থানা নগরকান্দা, বাদীর পিতা আনোয়ার মুন্সী (৬০) পিতা মৃত ইরফান মুন্সী, বাদীর মাতা খাদিজা বেগম(৪৫) স্বামী আনোয়ার মুন্সী, বাদীর মেয়ে জামাই বুরহান(৩০) পিতা বাকা মেম্বার গ্রাম দহিসারা থানা নগরকান্দা এদের কে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। ৫ ই ফেব্রুয়ারী বুধবার লস্করদিয়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার (বিয়ের কাজি মৌলবি) মনিরুল ইসলাম হেমায়েত (বাদীর ফুপাতো ভাই) পিতা মৃত খলিলুর রহমান মোল্লা গ্রাম জুঙ্গুরদী থানা নগরকান্দা কে পুলিশ আটক করে কারাগারে প্রেরন করেন। মামলার বাদী মোঃ আবুল হাসান(শিক্ষক) পিতা মৃত সামছুল হক গ্রাম জুঙ্গুরদী থানা নগরকান্দা এর করা মামলা থেকে জানা যায় ২ নং আসামী লস্করদিয়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মৌলবি মনিরুল ইসলাম হেমায়েত চেক দিয়ে শিক্ষকের নিকট থেকে টাকা নেয় এবং সময় মতো টাকা ফেরত না দেওয়ায় চেক ডিজঅনার করে আদালতে মামলা করেন। মামলা নং ১০৬/২০২২ । আদালত কর্তৃক রায়ের মাধ্যমে আসামী ৬ মাসের সাজা প্রাপ্ত হয়।নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত শিক্ষককে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য তার মান সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য একাধিক মিথ্যা মামলা করেন।যাহা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।আসামী কাজি মৌলবি মনিরুল ইসলাম জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তালাক ও বিবাহ সৃষ্টি করায় ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেন।একাধিকবার জেল হাজত বাস করেন।আসামী মনিরুল ইসলাম আদালতের রায় না মেনে টাকা না দিয়ে শিক্ষককে হেনস্তা ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে
ভূয়া কাবিননামা সৃষ্টি করে তার মামাতো বোন শাহারা আক্তার স্বপ্না কে দিয়ে ২০১৮ সানের যৌতুক নিরোধ আইনে ৩ ধারা মামলা করেন। মামলা নগরকান্দা সি,আর নং ৩২০/২০২৩।নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে মারপিট নির্যাতন করার মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মামলা করেন। মামলা নং -সি,আর ৪৫০/২০২৩।
নারী ও শিশু :৬৭২/২৩। বাড়ী ঘরে হামলা ভাঙচুর ভয়ভীতি দেখানোর ঘটনা সাজিয়ে আদালতে মোকদ্দমা ফৌঃকাঃবিঃ আইনের ১০৭/১১৭(সি) ধারায় একটি মামলা করে।সর্বশেষ পারিবারিক আদালত ভাংগা খোরপোশ দাবীতে একটি মামলা সহ মোট ৪ টি মামলা করেন শাহারা আক্তার স্বপ্না।

শিক্ষকের করা মামলায় ১ নং আসামী (যৌতুক মামলার বাদী) শাহারা আক্তার সহ তার মামলার স্বাক্ষীদের আসামী করে মামলা করে। মামলাটি সিআইডি তদন্ত করে অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরন করেন।আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা জারি করলে শিক্ষকের করা মামলায় পুলিশ ৫ জন আসামীকে আটক করে।১ জন আসামী শাহারা আক্তার এর বোন পলাতক রয়েছে। অন্য দুই আসামীর একজনের পরিচয় মেলেনি অন্যজন কনের উকিল বাবা ওমর কাবিন নামায় কোন স্বাক্ষর দেইনি বলে সিআইডির নিকট লিখিত জবানবন্দি দেওয়ায় মামলা থেকে অব্যহতি পায়।
মামলার বাদী শিক্ষক মোঃ আবুল হাসান বলেন লস্করদিয়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মৌলবি মনিরুল ইসলাম এর নিকট টাকা পাই। টাকা না দেওয়ায় আদালতে মামলা করি এবং আদালত আমার পক্ষে রায় দেন।আদালতের রায় না মেনে নিজে নিকাহ্ রেজিস্ট্রার তাই ভূয়া কাবিননামা সৃষ্টি করে তার মামাতো বোন শাহারা আক্তার কে দিয়ে মিথ্যা মামলা করে আমাকে হয়রানি করছে। আমার সম্মানহানী করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করি যা সিআইডি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়।এরপরই আসামীদের প্রতি আদালত গ্রেফতারী পরওয়ানা জারি করে। কাজি মৌলবি মনিরুল ইসলাম কে পুলিশ আটক করে কারাগারে প্রেরন করেন।এছাড়া আমি এই অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *