স্টাফ রিপোর্টারঃ
সিরাজগঞ্জে কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ঘুষের টাকা গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারী (সোমবার) তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা বাগবাটি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ডিগ্রি কলেজের এনটিআরসি’র মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের পর নিয়োগপ্রাপ্ত মোট ৭ জন নবাগত শিক্ষকদের নিকট থেকে বেতন নির্ধারণ করার জন্য অনলাইন আবেদন খরচ বাবদ জন প্রতি ১৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন (২০০৫ সনের ১ নং আইন) ২০০৫ এর মাধ্যমে ২০০৫ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) আইনের ১০ ধারা অনুযায়ী এনটিআরসিএ-কে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রণয়ন, নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন করার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এনটিআরসিএ (NTRCA) শিক্ষক নিয়োগের পর বেতন নির্ধারণের জন্য কোনো অনলাইন আবেদনের প্রয়োজন নেই। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর সরাসরি বেতন-ভাতা পেতে শুরু করেন এবং এটি সম্পূর্ণ সরকারি পদ্ধতি। যদি কেউ বেতন নির্ধারণ সংক্রান্ত কোনো অনলাইন আবেদনের জন্য ঘুষ চান, তবে এটি একটি অবৈধ ও অনাকাঙ্ক্ষিত কাজ। বেতন নির্ধারণ একটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া, যার জন্য কোনো প্রকার ঘুষ প্রদান করার প্রয়োজন হয় না। এনটিআরসিএ নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। সুপারিশ প্রাপ্তির পর, শিক্ষক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর, শিক্ষক সরকারি নিয়মনুযায়ী বেতন-ভাতা (মূল বেতন, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ইত্যাদি) পেতে শুরু করেন। শিক্ষক যদি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের হন, তাহলে তার বেতন-ভাতা সরকারিভাবে প্রদান করা হয়। বেতন নির্ধারণের জন্য কোনো অনলাইন আবেদন বা অতিরিক্ত ফি জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বেতন নির্ধারণ একটি স্বয়ংক্রিয় ও বিধিবদ্ধ প্রক্রিয়া। বেতন নির্ধারণের জন্য ঘুষ চাওয়া বা দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। যদি কেউ ঘুষ চায় যদি কোনো ব্যক্তি বেতন নির্ধারণের জন্য ঘুষ চান, তবে এটি একটি অবৈধ ও বেআইনি কাজ।এছাড়াও, শিক্ষক অনলাইন আবেদন না করে সরাসরি প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে পারেন।
বাগবাটি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ডিগ্রি কলেজের নবাগত শিক্ষিকা জেরিন তাসনিম এর সাথে মুঠো ফোনে বলেন, আমি যেহেতু এখানে নতুন এসেছি তাই, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে কথা বলতে চাচ্ছি না।
বাগবাটি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রেজাউল করিম বলেন, আমি শুধু বেতন করার জন্য অনলাইন খরচ হয় এবং চা নাস্তা খরচ নিয়েছি। যাদের টাকা তারাই খেয়েছে খরচ করেছে। আমি কোন ঘুষ নেই নাই।