( প্রথম পর্ব)
– বিষ্ণু সাহা
এই জন্যে তোমার করেক্টার আমার এত ভালো লাগে।খুবই মিস্টিরিয়াস!
আজব তো! আমি কি রাতে খেজুর গাছে চড়ে বসে থাকি নাকি?
আরে তা থাকবা ক্যান?
তাইলে ভর দুপুরে পাগল সেজে ঘুরে বেড়াই ?
আমি সেইটা কখন বললাম?
আমার মাথায় কি তিনটা সিং, একটা লেজ আছে? আমার পায়ের পাতা কি উল্টা নাকি? বাঁকা হয়ে হাঁটি?
হাত জোড় করি মা আমারে ক্ষেমা দাও।আমি কি এইসবের একটাও তোমারে বলসি?
বলনি..।কিন্তু বলতে তো তাই চাইতেছিলা। মিষ্টিরিয়াস মনে কি শুনি!!
সোজা কথা কি মোটেও সোজা ভাবে নেওয়া যায় না, না?
তার মানে কি বুঝাইতে চাচ্ছ তুমি? আমি কথা ঘুরাই? ঝগড়া করি আমি?
ধুর,,বাবা। আমারই ভুল গেলাম আমি।থাকো। তুমি মিস্তিরিয়াস ফিস্টিয়াস কিচ্চু না।হইসে? খুশি? মন ভরছে! ভরছে মন?গেলাম আমি। সায়োনারা,, আলভিদা,, টাটা,,বা বাই।
ও ও, তার মানে তুমি আমাকে সাধারণ বলতে চাচ্ছো? আর পাঁচ জনের মতো?আমি একটুকুও স্পেশাল না? তুমি কি যাবে আমিই যাচ্ছি। এই কড়া রোড দাড়ায়ে এসব অপমান শোনার জন্যে আসি নি, শোনার কোনো ইচ্ছাও আমার নেই। সাইয়ো…সা…না..সানা, নাইয়ো..সা..
ওই শোনো কি বললে তখন ওইটা সানারা না কি?
সানাড়া না। It’s সা য়ো না রা.. সায়োনারা! You মূর্খ।
ওই তুই মূর্খ কারে কইলি? দুইটা ইংলিশ মুভি দেখে ইটালিয়ান না স্প্যানিশ ডায়লগ শিখে আমারে মূর্খ কস।তুই মূর্খ।তোর চোদ্দো গুষ্টি মূর্খ।
তুমি তুই তাকারি করবে না বলে দিলাম।
আমার যা ইচ্ছা আমি তাই করবো তাই বলবো।তোর কি?
আমি তোমার থেকে বয়সে বড়।ভেবে চিন্তে…
কে বড় রে? কে বড়? তুই? তুই আমার থেকে বড়ো? তো কি করবো নাচবো? এই নে ধ্যুমকা নাচন ধুমকা নাচন। নিজেকে বড় বললেই বড়ো হই নাকি? বার্থ সার্টিফিকেট খুলে দেখ আমি তোর থেকে ৪ মাস ১,২…১৫..২০ দিনের বড়ো।সেই হিসাবে তো আমি তোর বড়ো।এখন থেকে আমাকে আপনি বলে ডাকবি।
সে তো চাকরির জন্য ২ বছর কমানো আছে।
ওরে চোর বাটপার। তুই এত্ত চিটার? তুই তো ছোট ট থাকেই চিটার।নইলে হওয়ার পর কেউ দুই বছর বাড়াই নেই?
বাড়াই না কমাই নিসি।
চোর চোর ই।সে তুই বাড়াই নে আর কমায় ই নে।আমি দেখবো তোর চাকরি কেমনে হয়! তোর অফিসে যেয়ে সব সত্যি সবাইরে বলে দিবো। পুলিশকে বলবো, রাব, বিডিয়ার,সেনাবাহিনী, মিলিটারী,নৌবাহিনী,বিমান বাহিনী, নেভী। সবাইরে বলে দিবো, সবাইরে।
গ্রাম পুলিশ মনে হয় বাদ গেলো? মুচকি হেসে যখন বললাম যে নেভী আর নৌবাহিনী একই..
একেবারে মোক্ষম ঔষধ।এবার আর যাবে কোথায় তুমি? চোখে যেই চোখ পড়লো ,কথার সুর কেমন জনি পাল্টে গেলো
ও.. একই? হইতে পারে।
আমার ততক্ষনে হাসতে হাসতে একাকার অবস্থা। ও.. একই এইটা শোনার পর আর কে পাই আমায়!!হাসতে হাসতে পাশের পুকুরে যে ঝাঁপ দিয়ে নি এই তো অনেক।
কি নিয়ে যে হাসতেছি।হাসির কারণ যে সেই ই বুঝতে পারলো কিনা আমিও ঠিক বুঝতে পারলাম না।কিন্তু দেখি আমার হাসির সাথে তালে তাল দিয়ে হাসতে হাসতে অন্তি ও কুটি কুটি অবস্থা।
হইসে? এইবার দাঁত কেলানি বন্ধ করো।আমি জানি I am so talented এতে এতো হাসার কি আছে?
ঠিক এই ডায়লগ টার ই অপেক্ষায় ছিলাম..যে কখন বলবে।কারণ এর পর যে এই ডায়লগ টা আসতে চলেছে এইটা অনেক্ষন আগে আন্দাজ করে ফেলেছিলাম। শোনার পর আরো মিনিট দেড়েক হেসে নিলাম।চাইলে হাসার পর্বটা মিনিট বিশেক লম্বা করতে পারতাম।কিন্তু সব রাত তো আর পূর্ণিমা না যে প্রতিরাতে চাঁদ দেখা যাবে।ইস..কতদিন সে হাসি হাসি নি।
আসলে প্রত্যেকটা মানুষই শুধু এই হাসির জন্যে এত কিছু করে যাচ্ছে।কেউবা করছে মনে মনে হসবে জন্যে, কেউ সবাইকে নিয়ে একসাথে হাসবে তাই, কেউবা শুধু নিজের টা নিজে হাসবে অন্য কেউ যেনো না হাসে আর কেউ অন্যকে হাসাবে তাই।
আমি আমার হাসি আটকালাম।আমার আবার হাসি থামানোর বেশ কয়েক টা নিনজা টেকনিক আছে। হয় গোটা হাত দিয়ে শক্ত করে মুখ চেপে ধরবো , দুই, না হলে দুই ঠোঁট ভেতরদিকে ভাজ করে একটা দিয়ে আরেকটা চেপে ধরবো আর শেষ হাসবো কিন্তু মিউট হোয়ে কোনো আওয়াজ বের হবে না।সব থেকে সমস্যা এইটাতে।আমার মনে হচ্ছে যে আমি মিউট ই আছি কিন্তু ওদিকে যে আমার অডিও সবাই ফুল ভলিউমে শুনতেছে সেদিকে আর খেয়াল থাকে না।
আচ্ছা বন্ধ করলাম আমার দাঁত কেলানী। এইবার বলো রাগ কমছে?
হুম..
কর রাগ টা এতক্ষন আমার ওপর দিয়ে গেলো?
আর বলো না.. আসার সময়…
to be continued..
( কে সাইফুল??)