বেশির ভাগ পুরুষের পুরুষত্বহীনতা সাময়িক। খুব বেশি মাত্রায় উদ্বিগ্ন থাকলে বা কোনো কিছু নিয়ে দুশ্চিনতাগ্রস্ত থাকলে যৌনমিলনের সময় পুরুষ তার যৌন উত্তেজনা হারাতে পারে। আবার খুব বেশি মাত্রায় এলকোহল সেবনের ফলেও পুরুষের লিঙ্গের দৃঢ়তা নষ্ট হয়ে যায়। সাইকোজেনিক অথবা অর্গানিক নানা কারনে পুরুষের পুরুষত্বহীনতা সৃষ্টি হতে পারে।
সাইকোজেনিক কারনে সৃষ্ট পুরুষত্বহীনতা: ১. দাম্পত্য সমস্যা। ২. আধুনিক কুসংস্কার। ৩. কঠিনভাবে পিতা বা মাতার অনুশাসনের নিয়ন্ত্রনে থাকা। ৪. পূর্বের যৌন অমতার জন্য পাপবোধ। ৫. অকাল বীর্যপাত। ৬. যৌনতার ব্যাপারে অনাগ্রহ। ৭. যৌনমিলনে সফলতা আসবে কিনা এই নিয়ে ভয় ও দুশ্চিতা।
অর্গানিক কারনে সৃষ্ট পুরুষত্বহীনতা : ১. এনাটোমিকাল বড় হাইড্রোসেল টঙিকুলার ফাইব্রোসিস। ২. কার্ডিওরেসপেরেটোরী মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন ইনজিনা ফাইমোসিস। ৩. জেনিটো ইউরিনারী প্রিয়াপিজম প্রোসটাটিটিস ইউরেথ্রিটিস প্রোসটাটেকটমী। ৪. এন্ড্রোক্রাইনাল, ডায়াবেটিস থাইরোটঙিকোসিস স্থুলতা ইনফ্যান্টালিজম ক্যাসট্রেশন এক্রোমেগালি। ৫. নিউরোলজিক্যাল, মাল্টিপোল, সিরোসিস, অপুষ্টি, পারকিনসন্স অসুখ, টেমপোরাল লবের সমস্যা, স্পাইরাল কর্ডের আঘাত ই.সি.টি। ৬. ইনফেকশন, টিউবারকিলোসিস, গনোরিয়া, মাম্পস। ৭. ড্রাগ নির্ভরতা, এলকোহল সেবন, স্নায়ু শিথিলকারী ওষুধ, এন্টিহাইপারটেনসিভ ওষুধ, সাইকোট্রপিকস ওষুধ, যেমন- ইমিপ্রামিন, ডিউরেটিঙ, রেজারপাইন।
পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসা: পুরুষত্বহীনতার চিকিৎসা ব্যাপারে অধিকাংশ পরামর্শ এসেছে মাস্টার এবং জনসনের কাছ থেকে। তারা তিনটি বিষয় গবেষণা করে থাকেন যে কোনো একজন পুরুষ পুরুষত্বহীনতার ভোগে। এ থেকে উত্তরণ পেতে হলে নিচের নীতিগুলো মেনে চলতে হবে। ১। ছেলেদের ১৮-২১ বছরের মধ্যে বিয়ে করা। ২। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা। ৩। পর্ণোগ্রাফি বর্জন করা। ৪। বেশি পরিমাণে পানি পান করা। ৫। তাখনুর উপরে কাপড় পরিধান করা। ৬। কনডম ব্যাবহার না করা।(কনডমে ব্যাবহিত তেল ও মেডিসিন যৌন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর) ৭। রাতে আগে ঘুমাতে যাওয়া সকালে আগে ঘুম থেকে উঠা। ৮। অতিরিক্ত মশলা ও তৈলাক্ত খাবার বর্জন করা। ৯। হস্তমৈথুন বর্জন করা ও বিবাহ করা।